Sunday, July 26, 2015

ক্যাটারিং (খাদ্য সরবরাহ ব্যবসা) ব্যবসার মাধ্যমে নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেক বেশি। কারণ বাড়িতে বসেই এই ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব।

ক্যাটারিং বা খাদ্য সরবরাহ ব্যবসায় রান্না ও বণ্টনের জন্য জায়গার প্রয়োজন হয়। সাধারণত অফিস-আদালতের কাছাকাছি বা বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেসব স্থানে হয় (কমিউনিটি সেন্টার, হল, ক্লাব) তার আশেপাশে রান্নার জন্য ২/১ কক্ষবিশিষ্ট একটা বাসা ভাড়া নিলে ভালো হয়। পুঁজি না থাকলে নিজের বাড়িতে রান্না করেই তা সরবরাহ করা সম্ভব। 
ক্যাটারিং ব্যবসা বলতে মূলত খাবার প্রস্তুত ও সরবরাহ ব্যবস্থাকে বুঝায়। খাদ্য সরবরাহকারী সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অফিসে চুক্তির ভিত্তিতে প্রতিদিনের খাবার সরবরাহ করে। এ ব্যবসার মাধ্যমে নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেক বেশি। কারণ বাড়িতে বসেই এই ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব। তবে শহরাঞ্চলেই বিশেষ করে থানা, জেলা বা বিভাগীয় শহরে
এই ব্যবসার সম্ভাবনা বেশি।
স্থান নির্বাচন

ক্যাটারিং বা খাদ্য সরবরাহ ব্যবসায় রান্না ও বণ্টনের জন্য জায়গার প্রয়োজন হয়। সাধারণত অফিস-আদালতের কাছাকাছি বা বিভিন্ন অনুষ্ঠান যে সব স্থানে হয় (কমিউনিটি সেন্টার, হল, ক্লাব) তার আশেপাশে রান্নার জন্য ২/১ কক্ষবিশিষ্ট একটা বাসা ভাড়া নিলে ভালো হয়। পুঁজি না থাকলে নিজের বাড়িতে রান্না করেই তা সরবরাহ করা সম্ভব

পিঠার ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে যে বিষয়গুলো জানা দরকার

নানান রকম পিঠা তৈরি করে দোকানে রেখে পিঠা বিক্রি করা সম্ভব। পিঠা মুখরোচক খাবার বলে আমাদের দেশে সারাবছরই নানা রকম পিঠার চাহিদা থাকে। এছাড়া আজকাল বিভিন্ন ঘরোয়া অনুষ্ঠান যেমন- জন্মদিন, গায়ে হলুদ ইত্যাদি অনুষ্ঠানে পিঠার আয়োজন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে অর্ডার অনুযায়ী পিঠা সরবরাহ করে আয় করা সম্ভব।


পিঠা আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে জড়িয়ে আছে। সাধারণত নতুন ধান উঠে বলে শীতকালে পিঠা বেশি তৈরি করা হয়। তবে এখন সারাবছরই নানা রকম পিঠা পাওয়া যায়। পিঠা পছন্দ করে না এরকম মানুষ আমাদের দেশে খুঁজে পাওয়া  কঠিন। তাই কর্মসংস্থানের জন্য নারী, পুরুষ যে কেউ পিঠা ঘর দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

বাজার সম্ভাবনা

নানান রকম পিঠা তৈরি করে দোকানে রেখে পিঠা বিক্রি করা সম্ভব। পিঠা মুখরোচক খাবার বলে আমাদের দেশে সারাবছরই নানা রকম পিঠার চাহিদা থাকে। এছাড়া আজকাল বিভিন্ন ঘরোয়া অনুষ্ঠান যেমন-জন্মদিন, গায়ে হলুদ ইত্যাদি অনুষ্ঠানে পিঠার আয়োজন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে অর্ডার অনুযায়ী

পিঠা তৈরির কিছু নিয়ম কানুন

১। বেশির ভাগ পিঠাই চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি করা হয়। তাই লক্ষ্য রাখতে হবে যেন চালের গুঁড়া ঝরঝরে ও মসৃণ হয়। গুঁড়া ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।

২। বাজার থেকে ভালো মানের টাটকা গুঁড়, ময়দা ও চিনি কিনে আনতে হবে।

৩। পিঠা তৈরির সময় খেয়াল রাখতে হবে সব পিঠাই যেন মোটামুটি একই মাপের হয়। চিতই পিঠা তৈরির জন্য বাজারে মাটির খোলা বা পাত্র কিনতে পাওয়া যায়। সেটা কিনে নিলে পিঠা তৈরি করতে সুবিধা হবে। সব পিঠা একই মাপের হবে।

৪। ভাঁপা পিঠা তৈরির জন্য সুন্দর মাপের একটা বাটি নিলে পিঠাগুলো দেখতে সুন্দর হয়।

৫। বাজারে পিঠা তৈরির জন্য নানান নকশার ছাঁচ কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলো কিনে নিলে নতুন নতুন নকশার পিঠা তৈরি করা যাবে।

৬। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন পিঠা তৈরির নিয়ম শিখে নিয়ে সেসব পিঠা তৈরি করা যাবে। এছাড়া পিঠা তৈরির বই পড়েও নতুন পিঠা তৈরি করা যাবে। এছাড়া নিজে নতুন নতুন ধরণ ও স্বাদের পিঠা তৈরি করলে তা ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।

Saturday, July 25, 2015

ডিমের ঝাল পোয়া পিঠা

উপকরণ: আতপ চালের গুঁড়া ১ কাপ, সেদ্ধ চালের গুঁড়া ১ কাপ, ময়দা আধা কাপ, ডিম ২টি, পেঁয়াজ মিহি কুচি সিকি কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ২ চা চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ। লবণ পরিমাণমতো, চিনি আধা চা চামচ, কুসুম গরম পানি পরিমাণমতো, বেকিং পাউডার আধা চা চামচ, তেল ভাজার জন্য।
 

প্রণালি: আতপ চাল ও সেদ্ধ চালের গুঁড়া, ময়দা, বেকিং পাউডার, চিনি একসঙ্গে খুব ভালো করে মিলিয়ে নিতে হবে। পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা, লবণ একসঙ্গে ভালো করে চটকিয়ে ডিম দিয়ে মাখিয়ে ময়দার মিশ্রণে মেলাতে হবে। প্রয়োজনমতো পানি দিতে হবে। গোলা করে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, গোলা যেন খুব পাতলা না হয়ে যায়। তেল গরম করে সিকি কাপ পরিমাণ গোলা ছাড়তে হবে। পিঠা ফুলে উঠলে উল্টিয়ে দিয়ে কাঠি দিয়ে পিঠার মাঝখানে ছিদ্র করে ভেতরের বাতাস বের করে দিতে হবে। পিঠা ভাজা হলে চুলা থেকে নামিয়ে টমেটো সস অথবা গ্রিন চিলি সসের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।

নারকেলের তিল পুলি

উপকরণ: পুরের জন্য—কুরানো নারকেল ২ কাপ, ভাজা তিলের গুঁড়া আধা কাপ, খেজুরের গুড় ১ কাপ, আতপ চালের গুঁড়া ২ টেবিল-চামচ, এক চিমটি এলাচ গুঁড়া, দারচিনি ২-৩টা।

খামিরের জন্য—আতপ চালের গুঁড়া ২ কাপ, পানি দেড় কাপ, লবণ স্বাদমতো, ভাজার জন্য তেল দুই কাপ।

 

প্রণালি: কুরানো নারকেলে গুড় দিয়ে ১৫-২০ মিনিট রান্না করতে হবে। একটু শক্ত হয়ে এলে এলাচ, তিল ও চালের গুঁড়া ছড়িয়ে আরও একটু রান্না করতে হবে। তেল উঠে পুর যখন পাকানোর মতো শক্ত হবে, তখন নামিয়ে ঠান্ডা করে লম্বাভাবে সব পুর বানিয়ে রাখতে হবে। এবার চালের গুঁড়া সেদ্ধ করে ভালোভাবে চুলার আঁচ কমিয়ে নাড়তে হবে, যাতে খামিরে কোনো চাকা না থাকে। একটু ঠান্ডা হলে পানি ছিটিয়ে ভালো করে ছেনে রুটি বানাতে হবে। রুটির এক কিনারে পুর রেখে বাঁকানো চাঁদের মতো উল্টে পিঠে আটকে দিতে হবে। এবার টিনের পাত অথবা পুলিপিঠা কাটার চাকতি দিয়ে কেটে নিতে হবে। কিনারে মুড়ি ভেঙে ও নকশা করা যায়। গরম তেলে মচমচে করে ভাজতে হবে। এই পিঠা এয়ারটাইট পাত্রে দুই-তিন দিন রেখে খাওয়া যায়।

লাল পুয়াপিঠা

উপকরণ: আতপ চালের গুঁড়া ৩ কাপ, মিহি করে বাটা নারকেল আধা কাপ, ময়দা ১ টেবিল-চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, খেজুরের গুঁড় মিষ্টি অনুযায়ী, পানি পরিমাণমতো, ডিম ২টি, এক চিমটি লবণ।

 

প্রণালি: তেল ছাড়া সবকিছু মিশিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এবার তেল গরম হলে গোল চামচে গোলা নিয়ে একটা একটা করে ভেজে তুলতে হবে। এই পিঠা গুড়ের বদলে চিনি দিয়েও করা যায়। চিনি দিয়ে পিঠা বানালে পিঠা দেখতে সাদা হবে।

বাদাম-নারকেলের ঝালপিঠা

উপকরণ: কুরানো নারকেল ৩ কাপ, আধা ভাঙা চিনাবাদাম আধা কাপ, কিশমিশ ২ টেবিল চামচ, সামান্য এলাচ গুঁড়া, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, ধনেপাতা ও কাঁচামরিচ পরিমাণমতো, লবণ স্বাদমতো, ময়দা আধা কাপ, আতপ চালের গুঁড়া ২ কাপ, ভাজার জন্য তেল ৩ কাপ, গোলমরিচ ও জিরার গুঁড়া ১ চা-চামচ করে।

 

প্রণালি: চুলায় নারকেলে সামান্য লবণ দিয়ে একে একে সব মসলা, বেরেস্তা, ধনেপাতা, কাঁচামরিচ সবকিছু দিয়ে একটু নেড়ে নিন। এবার বাদাম, গোলমরিচ, জিরা ও এলাচ গুঁড়া দিয়ে দুই মিনিট রেখে নামাতে হবে। ময়দা ও চালের গুঁড়া একসঙ্গে সেদ্ধ করে খামির বানিয়ে ঠান্ডা হলে ছেনে নিতে হবে। এখন রুটি বানিয়ে যেকোনো আকারে ভাঁজ দিয়ে ভেতরে বাদাম-নারকেলের পুর ভরে নিতে হবে। এবার কিনারে একটু মুড়ি ভেঙে বা ছুরি দিয়ে ডিজাইন করে গরম তেলে লাল করে ভেজে তুলতে হবে।